মুসলিম ব্যক্তির ধর্ম বিশ্বাস
মূল লেখক: শাইখ জামীল জাইনু
অনুবাদক: শাইখ আকরামুয যামান বিন আব্দুস সালাম
প্রশ্নঃ ১. আল্লাহ কেন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন?
উত্তরঃ তাঁর ইবাদত করার জন্য এবেং কোন বস্তুকে তাঁর সহিত শরীক না করার জন্য।
কোরআন হতে দলীলঃ
{وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ} (سورة الذاريات:56)
“আমি মানব ও জ্বিন জাতিকে শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছি” (সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)
হাদীস হতে দলীলঃ
«فَإِنَّ حَقَّ اللَّهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا» (متفق عليه)
‘‘বান্দার উপর আল্লাহর হক হলো এই যে, তারা শুধু তাঁরই ইবাদত করবে এবং তাঁর সহিত কাউকে শরীক স্থাপন করবে না’’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

প্রশ্নঃ ২. আমরা কিভাবে আল্লাহর ইবাদত করবো?
উত্তরঃ ইবাদত করতে হবে নিষ্ঠার সহিত, যেভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দেশ দিয়েছেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ ইবাদত করতে হবে নিষ্ঠার সহিত, যেভাবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল নির্দেশ দিয়েছেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
{وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ} (سورة البينة:5 )
““তাদেরকে নিষ্ঠার সহিত কেবল আল্লাহরই ইবাদত করার আদেশ দেয়া হয়েছিল” (সূরা বাইয়্যিনাহঃ ৫)
হাদীস হতে দলীলঃ
«مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ » (رواه مسلم)
‘‘‘যে ব্যক্তি কোন আমল করবে আমাদের নির্দেশের (কুরআন-হাদীসের) বাইরে উহা প্রত্যাখ্যাত’। (সহীহ মুসলিম)

৩. প্রশ্নঃ আমরা কি আল্লাহর ইবাদাত করবো ভীতি ও আকাংখার সাথে?
উত্তরঃ হাঁ, আমরা তাঁর ইবাদাত করবো ভীতি ও আকাংখার সাথে।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ হাঁ, আমরা তাঁর ইবাদাত করবো ভীতি ও আকাংখার সাথে।
কোরআন হতে দলীলঃ
{وَادْعُوهُ خَوْفًا وَطَمَعًا} (سورة الأعراف:56 )
“‘‘আর তাঁকে (আল্লাহকে) ডাক, ভীতি ও আকাঙ্খার সাথে অর্থাৎ জাহান্নামের ভয়ে ও জান্নাতের আশায়।”’’ (সূরা আ’রাফ ৫)
হাদীস হতে দলীলঃ
«اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ» (سنن أبي داود)
‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট জান্নাত কামনা করি ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ চাই।’ (আবু দাউদ শরীফ)

৪. প্রশ্নঃ ইবাদাতের ক্ষেত্রে ইহসান কাকে বলে?
উত্তরঃ এক আল্লাহকে হাযের-নাযের (উপস্থিত) জ্ঞান রাখা, যিনি আমাদের সর্বদা দেখেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
{إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا} (سورة النساء:1)
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন’’। (সূরা নিসাঃ ১)
উত্তরঃ এক আল্লাহকে হাযের-নাযের (উপস্থিত) জ্ঞান রাখা, যিনি আমাদের সর্বদা দেখেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
{إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا} (سورة النساء:1)
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন’’। (সূরা নিসাঃ ১)
{ الَّذِي يَرَاكَ حِينَ تَقُومُ} (سورة الشعراء :218)
‘‘যিনি আপনাকে দেখেন যখন আপনি নামাযে দন্ডায়মান হন।’’ (সূরা শুআরাঃ ২১৮)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ» (رواه مسلم)
‘ইহসান হল এই যে, এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখতে পাচ্ছ, যদি তাঁকে দেখতে না পাও তবে নিশ্চয় তিনি তোমাকে দেখছেন’ (সহীহ মুসলিম)

৫. প্রশ্নঃ আল্লাহ তা’য়ালা কেন রাসূলগণকে পাঠিয়েছেন?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালার একনিষ্ঠ ইবাদাতের দিকে আহবানের জন্য এবং ইবাদাতে অংশিদার স্থাপন না করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদানের জন্য।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ আল্লাহ তা’য়ালার একনিষ্ঠ ইবাদাতের দিকে আহবানের জন্য এবং ইবাদাতে অংশিদার স্থাপন না করার ক্ষেত্রে বাধা প্রদানের জন্য।
কোরআন হতে দলীলঃ
{وَلَقَدْ بَعَثْنَا فِي كُلِّ أُمَّةٍ رَسُولًا أَنِ اُعْبُدُوا اللَّهَ وَاجْتَنِبُوا الطَّاغُوتَ} (سورة النحل: 36)
‘‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগু
ত থেকে নিরাপদ থাক’’।(সূরা নাহালঃ ৩৬)
হাদীস হতে দলীলঃ
হাদীস হতে দলীলঃ
«الأَنْبِيَاءُ إِخْوَةٌ مِنْ عَلاَّتٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ» (متفق عليه)
‘নবীগণ পরস্পরের ভাই এবং তাদের মাতা ভিন্ন পক্ষান্তরে তাদের দ্বীন এক (অর্থাৎ প্রত্যেক রাসূলই তাওহীদের দিকে আহবান করে গেছেন)।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
চলবে……ইনশাআল্লাহ