আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?


আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?

লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিন আব্দুস সালাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

প্রবন্ধটি ডাউন লোড করুন (পিডিএফ)

বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকা “মাসিক মদীনা”র প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রদত্ত একটি উত্তরের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। উত্তরটি আল্লাহ্‌ ও তাঁর গুণাবলী সংক্রান্ত এবং উহা কুরআন-হাদীস ও সালফে সালেহীনের আকীদাহ্ বিরোধী। সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য মুসলমান সমাজে তুলে ধরা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। তাই বিষয়টির বিস্তারিত আলোচনায় আমরা প্রবৃত্ত হলাম।
উত্তরটিতে বলা হয়েছে:“ আল্লাহ্‌ পাক নিরাকার। তিনি সর্বত্র সবকিছুতে বিরাজমান। .... পবিত্র কুরআনের বহু আয়াতে এবং হাদীস শরীফেও আল্লাহ্‌ তা’আলার পরিচয় এভাবেই দেয়া হয়েছে ......।” (মাসিক মদীনা আগস্ট সংখ্যা ৯৯’ইং ৪৪নং প্রশ্নের উত্তর।)
উক্ত কথাটির প্রমাণে উত্তর দাতা মাওলানা সাহেব যদি কুরআন-হাদীস থেকে কিছু দলীল প্রমাণ উপস্থাপিত করতেন তবে পাঠক সমাজ উপকৃত হতেন। প্রকৃত পক্ষে এ কথার কোন দলীল নেই তার কাছে । কুরআন-হাদীসের কোন স্থানেই এ কথা পাওয়া যাবে না যে, আল্লাহ্‌ পাক নিরাকার, তাঁর কোন আকার আকৃতি নেই, বা তিনি পৃথিবীর সকল স্থানে সকল বস্তুর মধ্যে বিরাজ করছেন। কেননা এ কথার অর্থ দাঁড়ায়, ভাল-মন্দ সকল বস্তু এবং স্থানেই মহান আল্লাহর অস্তিত্ব বিদ্যমান । মানুষ-জিন, গরু€-ছাগল, কুকুর-শুকর, মসজিদ-মন্দির, উপাসনালয়-বেশ্যালয় ইত্যাদি শব্দগুলো ‘সবকিছুর’ই অন্তর্ভুক্ত। মলতঃ উক্ত কথাটি তিনি ইবনে আরাবী, মনসূর হাল্লাজ প্রমূখ বেদ্বীন সুফীদের নিকট থেকে নিয়েছেন। ঐ সকল সূফীদের কথা হল: (وما الكلب والخنزير إلا إلهنا : وما ربنا في الكنيسة إلا راهب) অর্থাৎ-কুকুর-শুকর এগুলো মলতঃ আমাদের উপাস্য, আর গির্জায় অবস্থানকারী পাদ্রী আমাদের প্রতিপালক ছাড়া আর কিছুই নয়। আর ইবনে আরাবীর কথা হল: (العبد رب والرب عبد : يا ليت شعري من المكلف؟) বান্দা হল রব আর রবই হল বান্দা, হায় আমি যদি জানতাম কে আদেশ প্রাপ্ত? তাই তো আজকাল কোন কোন সুফি দরবেশ বলে থাকে ‘যত কল্লা তত আল্লাহ্‌’। কারণ সব কল্লার মধ্যেই আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব বিদ্যমান!! (নাঊযুবিল্লাহ্ )
একজন আলেম তো দূরের কথা সুস্থ বিবেক সম্পপন্ন সামান্য জ্ঞানের অধিকারী একজন সাধারণ মুসলিম ব্যক্তি কখনই উল্লেখিত আকীদাহ্ রাখতে পারে না। কারণ নিঃসন্দেহে এধরণের বিশ্বাস রাসলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), সাহাবায়ে কেরাম ও আয়েম্মায়ে মুজতাহেদীনের আকীদাহ্ বিরোধী তথা কুফুরী বিশ্বাস। সুতরাং মাওলানা সাহেব উক্ত জবাব স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানেই দিয়ে থাকুন অথবা মূর্খতা বশত: দিয়ে থাকুন, তিনি যে অতি জঘন্য ও মারাত্মক অপরাধের কথা বলেছেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।
এক্ষণে আমরা “আল্লাহ্‌ কোথায়?” এ বিষয়ে কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস এবং সালফে সালেহীন তথা শ্রেষ্ঠ যুগের মহা পণ্ডিতদের বক্তব্য ও আকীদাহ্ দলীলসহ আলোচনা করার চেষ্টা করব:
সমগ্র জাহানের প্রতিপালক ও সংরক্ষক মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা সপ্তাকাশের উপর অবস্থিত সুমহান আরশের উপর সমুন্নত, তিনি সর্বস্থানে বিরাজিত নন। তাঁর ক্ষমতা অসীম ও সর্বব্যাপী। তিনি সব কিছু দেখেন ও শোনেন। কোন কিছুই তাঁর জ্ঞানের বাইরে নয়। তিনি আরশে আ’যীমে থেকেই সব কিছু সুচারু€রূপে পরিচালিত করেন।
১) মহান আল্লাহ্‌ এরশাদ করেন:

 (ان ربكم الله الذي خلق السموات والأرض في ستة أيام ثم استوى على العرش)

অর্থ:‘ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্‌, যিনি আকাশ সমূহ এবং পৃথিবীকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’ (সূরা আরাফ-৫৪)
২) আল্লাহ্‌ তা’আলা আরও বলেন:

 الرحمن على العرش استوى

অর্থ: ‘রহমান (আল্লাহ্‌) আরশে সমুন্নত।’ (সূরা ত্বহা-৫) এ কথায় কোনই সন্দেহ নেই যে আরশ আসমান রয়েছে জমিনে নয়।

৩) তাই মহান আল্লাহ্‌ অন্যস্থানে বলেন:

 أأمنتم من في السماء أن يخسف بكم الأرض

অর্থ: ‘তেমরা কি নিরাপদ হয়ে গেছো যে, যিনি আকাশে অবস্থিত রয়েছেন তিনি তোমাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন না।’ (মূলক-১৬)

এ ছাড়া বহু আয়াতে আল্লাহ্‌ পাক নিজের পরিচয়ে বলেছেন যে, তিনি আকাশের উপর মহান আরশেই রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে অধিক প্রমাণের জন্য নিম্ন লিখিত আয়াত গুলো দেখা যেতে পারে। ( ইউনুস-৩, রা’দ-২, ফুরক্বান- ৫৯, সাজদাহ্-৪, হাদীদ-৪)
৪) হাদীছে রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:

ألا تأمنوني وأنا أمين من في السماء يأتيني خبر السماء صباحاً ومساءً -متفق عليه

 অর্থ: ‘তোমরা কি আমাকে আমানতদার মনে কর না, অথচ যিনি আসমানে আছেন আমি তাঁর আমানতদার। আমার কাছে আসমানের খবর সকাল-সন্ধ্যায় আসে।” (বুখারী ও মুসলিম) আসমানে যিনি আছেন নিশ্চয় তিনি মহান আল্লাহ্‌। কোন সন্দেহ আছে কি ?
৫) হযরত মুয়াবিয়া বিন হাকাম আস্ সুলামী (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক দাসীকে প্রশ্ন করেছিলেন : ‘আল্লাহ্‌ কোথায়?’ উত্তরে সে বলেছিল : আল্লাহ্‌ আসমানে। তিনি বললেন , আমি কে? সে বলল: আপনি আল্লাহ্‌র রাসূল। তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার মনিবকে বললেন: তাকে আজাদ করে দাও। কেননা সে ঈমানদার। (ছহীহ মুসলিম) দাসীটি যদি উত্তরদাতা মাওলানা সাহেবের মতবাদ অনুযায়ী জবাব দিত তবে নির্ঘাৎ সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট অমুসলিম সাব্যস্তগ হত। কেননা তার ঈমান পরীক্ষা করার জন্যই তাকে তিনি অনুরূপ প্রশ্ন করেছিলেন।
৬) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেন:

(ارحموا من في الأرض يرحمكم من في السماء )

অর্থাৎ-‘ যারা জমিনে আছে তোমরা তাদের প্রতি দয়াশীল হও যিনি আকাশে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়াশীল হবেন।’ (তিরমিযী, হাদীছ ছহীহ)
৭) সুপ্রসিদ্ধ মে’রাজের ঘটনা বুখারী -মুসলিম সহ বহু হাদীস গ্রন্থে রয়েছে।
হে বিবেকবান মুসলিম ভাই! আল্লাহ্‌ যদি সর্বত্র সবকিছুতেই বিরাজিত থাকেন, তবে মে’রাজের কি দরকার ছিল? মে’রাজের রাত্রে বোরাকে চড়ে সপ্তাকাশের উপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ্‌র দরবারে গমনই তো প্রমাণ করে যে মহান আল্লাহ্‌ সাত আসমানের উপর অবস্থিত আরশেই রয়েছেন। নতুবা মে’রাজ অর্থহীন হয়ে যায় না কি?
এ ক্ষেত্রে সালফে সালেহীনের আকীদা বা কিছু উক্তি:
৮) ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ আরশে আছেন একথা বিশ্বাস করে, কিন্তু সন্দেহ করে যে আর্মস আসমানে আছে না জমিনে তবে সে কাফের বলে গণ্য হবে। (দ্র: আল্ ফিকহুল আবসাত)
৯) ইমাম আওযায়ী বলেন: আমরা তাবেয়ীগণের উপস্থিতে বলতাম, নিশ্চয় মহান আল্লাহ্‌ তাঁর আরশের উপর রয়েছেন। তাঁর গুণাগুণ সম্পর্কে যে বর্ণনা এসেছে আমরা সবই তা বিশ্বাস করি। (ইমাম যাহাবী প্রণীত মুখতাছার উলু দ্রষ্টব্য)
১০) ইমাম মালিক (রহঃ) বলেন: ( الله في السماء وعلمه في كل مكان لا يخلو منه شيء ) ‘আল্লাহ্‌ রয়েছেন আসমানে এবং তাঁর ইলম সর্বাস্থানে পরিব্যপ্ত , তার জ্ঞান থেকে কোন স্থান খালি নেই।
১১) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন: আমি যে তরিকার উপর প্রতিষ্ঠিত ও যাদেরকে ঐ তরিকার উপর পেয়েছি যেমন সুফিয়ান সাওরী, মালিক প্রমখগণ তা হল- এ কথার স্বীকৃত দেয়া যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন হক মা’বুদ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র রাসূল আর আল্লাহ্‌ তিনি আসমানে আরশের উপর রয়েছেন। তিনি তার বান্দার নিকটবর্তী হন যে ভাবে ইচ্ছা করেন এবং যে ভাবে চান ঠিক সেভাবেই দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন …।
১২) ইমাম আহমাদ (রাহ) কে জিজ্ঞেস করা হল: আল্লাহ্‌ সপ্তাকাশে আরশের উপর রয়েছেন। সৃষ্টিকুল থেকে পৃথক আছেন এবং তার কুদরত ও ইলম সকল স্থানে পরিব্যাপ্ত। উত্তরে তিনি বললেন: হ্যাঁ, তিনি স্বীয় আরশে রয়েছেন এবং কোন বস্তু তার ইলমের বাইরে নয়।
১৩) ইমাম ইবনে খুযাইমা বলেন: (من لم يقر بأن الله على عرشه استوى فوق سبع سماواته بائن من حلقه فهو كافر يستتاب فإن تاب وإلا ضربت عنقه وألقي على مزبلة لئلا يتأذى بريحه أهل القبلة وأهل الذمة ) ”যে ব্যক্তি স্বীকার করে না যে আল্লাহ্‌ তা’আলা সপ্তাকাশে স্বীয় আরশে সমুন্নত, সৃষ্টি জগত হতে সম্পূর্ণ আলাদা-সে কাফের। তাকে তওবা করার নির্দেশ দিতে হবে। তওবা না করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। অতঃপর তার লাশ ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে যাতে করে কিবলা ওয়ালা মুসলমানগণ এবং কর প্রদানকারী অমুসলিমগণ তার দূর্গন্ধে কষ্ট না পায়। (ইমাম যাহাবী প্রণীত মুখতাছার উলু দ্রষ্টব্য)
১৪) বড় পীর হিসেবে খ্যাত হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) স্বীয় ‘গুনিয়াতুত্ তালেবীন’ নামক গ্রন্থে বলেন: ‘আল্লাহ্‌ পাক আরশে সমুন্নত রয়েছেন। রাজত্ব নিজ আয়ত্তে রেখেছেন। সমস্ত বস্তুকে বেষ্টন করে রেখেছেন। ….. আর এ ভাবে তাঁর পরিচয় দেয়া জায়েজ নয় যে, তিনি প্রত্যেক স্থানে বিরজমান; বরং বলতে হবে তিনি আসমানে আরশের উপর রয়েছেন যেমনটি তিনি (নিজেই) বলেছেন: الرحمن على العرش استوى “রহমান (আল্লাহ্‌) আরশে সমুন্নত”। (ত্বা-হা/৫) একথা স্বাভাবিক ভাবেই বলতে হবে কোন প্রকার অপব্যখ্যা করে নয়। তিনি যে আসমানে আছেন একথা নবী-রাসলদের প্রতি নাযিলকৃত প্রত্যেক কিতাবেই লিখিত আছে। তবে আরশে তিনি কিভাবে রয়েছেন তার পদ্ধতি কারো জানা নেই।’
১৫) মানুষের সৃষ্টিগত ফিৎরাতও একথা স্বীকার করে যে, আল্লাহ্‌ তায়ালা আসমানেই রয়েছেন সব স্থানে নয়। এর প্রমাণে আপনি আপনার স্নেহের কচি শিশুকে প্রশ্ন করুন- আল্লাহ্‌ কোথায়? দেখবেন তার পবিত্র মুখ থেকে জবাব বেরুবে, ‘উপরে’। বা সে তার কচি আঙ্গুল উঠিয়ে উপর দিকেই ইশারা করবে, অর্থাৎ তিনি (আল্লাহ্‌) আকাশে রয়েছেন, সব জায়গাতে নয়। আরও বহু আয়াত ও হাদীস রয়েছে যেগুলো দ্বারা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় আল্লাহ তায়ালা সব জায়গায় বিরাজমান নন। বরং তার ক্ষমতা, রাজত্ব, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ, জ্ঞান, দৃষ্টি ইত্যাদি সর্বত্র ও সব কিছুতে বিরাজমান। কিন্তু তিনি স্বত্বাগতভাবে অবস্থান করেন, সাত আসমানের উপর আরশে আযীমে।
সম্মানিত পাঠক! এই হল কুরআন-হাদীস এবং সালফে সালেহীনের আকিদাহ্ ও বিশ্বাস যা সংক্ষেপে উদ্ধৃত করা হল। যার সার সংক্ষেপ হল- মহান আল্লাহ্‌ আরশে রয়েছেন তিনি সর্বত্র সবকিছুতে বিরাজিত নয়। আর এটাই হল বিশুদ্ধ আকীদা। অথচ এধরণের আকীদার অধিকারীদেরকে মাওলানা মুহিউদ্দীন উত্তর দিতে গিয়ে ‘অকাট মূর্খ অথবা বিকৃত মস্তিষ্ক বা গোমরাহ ফেরকার গোপন এজেন্ট’ রূপে গরালাগালী করেছেন।
সুতরাং সম্মানিত পাঠক, উপরোক্ত আলোচনা পড়ে আপনিই বিচার করুন কে অকাট মূর্খ আর বিকৃত মস্তিষ্ক এবং গোমরাহ ফেরকার গোপন এজেন্ট -কুরআন-হাদীস ও সালফে সালেহীন? না …….. ?
একটি সংশয় নিরসন: কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ্‌ বান্দার ‘সাথে’ রয়েছেন বলা হয়েছে। এর অর্থ এ নয় যে তিনি তাদের সাথে মিলিত ও সংযুক্ত অবস্থায় রয়েছেন। কেননা এরূপ অর্থ পূর্বসূরী বিদ্বানগণ কেহই করেন নি। পক্ষান্তরে এটা ভাষাগতভাবেও আবশ্যক নয়। আল্লাহ্‌ তা’আলা ‘সাথে’ থাকার ব্যাখ্যা নিজেই দিয়েছেন। যেমন- তিনি বলেন: وهو معكم أين ما كنتم والله بما تعملون بصير “তোমরা যেখানেই থাক না কেন তিনি তোমাদের সাথেই রয়েছেন। আল্লাহ্‌ তোমাদের কৃতকর্মের সম্যক দ্রষ্টা।” (হাদীদ /৪) অর্থাৎ তাঁর দৃষ্টির মাধ্যমে তিনি আমাদের সাথে আছেন, স্ব অস্তিত্বে নয়। হযরত মুসা ও হারূন (আঃ)কে আল্লাহ্‌ ফেরাউনের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন: إنني معكما أسمع وأرى “আমি তোমাদের সাথেই রয়েছি শুনছি ও দেখছি।” (সূরা ত্বা-হা/ ৪৬) অত্র আয়তে আল্লাহ্‌ পাক সাথে থাকার অর্থ নিজেই করেছেন দেখা ও শোনার মাধ্যমে। অর্থাৎ আমি তোমাদের সাহায্যকারী ও রক্ষাকারী। যেমন- সাধারণভাবে আমরা বলে থাকি ‘আপনি উমুক কাজটি করুন আমরা আপনার সাথে আছি’। অর্থাৎ আমরা আপনাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করব। যেমন- টেলিফোনে কথা বলার সময় একজন অপরজনকে বলে থাকে: কে আপনি আমার সাথে? জবাবে বলে আমি উমুক আপনার সাথে। অথচ এখানে দুজন অঙ্গা-অঙ্গী হয়ে থাকে না। দু’জন দু’দেশ থেকে কথা বলে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে সাথে থাকার অর্থ মিশে থাকা নয় বরং মহান আল্লাহ্‌ সেই আরশে আ’যীমে থেকেই তাঁর সাহায্য-সহযোগিতা, দেখা-শোনা ও জ্ঞানের মাধ্যমে আমাদের সাথে রয়েছেন। তিনি অসীম ক্ষমতাবান এবং যা চান তাই করতে পারেন।
আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে হক জানা ও তা মানার তাওফীক দিন। আমীন।

هل الله في كل مكان؟

إعداد: أختر الأمان عبد السلام،

 الداعية بمركز دعوة الجاليات بالجبيل

المملكة العربية السعودية

3 thoughts on “আল্লাহ্‌ কি সর্বস্থানে বিরাজমান?

  1. দয়াময় আল্লাহ্ সর্বত্র বিরাজমান
    (From Talukder Mohammad
    link:https://www.facebook.com/notes/582654751864908/)

    আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কোথায় এ বিষয় নিয়ে লেখার কোন ইচ্ছেই আমার ছিল না। বাধ্য হয়ে লিখতে হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন। আমি তাঁর রহমতের ভরসা করছি।

    এটি খুবই সঙ্গীন বিষয়। এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পূর্ববর্তী মনীষীগণ নিষেধ করেছেন। বলা যায় এটি একটি বিদআতি আলোচনা। এ বিষয়ে কথা বলা বিদআত। এমনটিই আমরা পূর্ববর্তী মুহাক্কিক আলেমগণ থেকে দেখতে পাই। ইমাম মালিক রহঃ বলেন, الاستواء معلوم والكيفية مجهولة، والسؤال عنه بدعة، والايمان به واجب অর্থঃ “আল্লাহ তাআলার আরশে ইস্তিওয়া এর বিষয়টি জানা যায়, কিন্তু অবস্থা অজানা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আর এ বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব”।

    আমরা বিশ্বাস করি-আল্লাহ তায়ালা আকাশেও আছেন, আছেন জমিনেও, আছেন পূর্বেও। আছেন পশ্চিমেও। আছেন উত্তরেও। আছেন দক্ষিণেও। উপরেও আছেন। নিচেও আছেন। আল্লাহর গোটা রাজত্বের সর্বত্র তার সত্তা বিরাজমান। কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকা দেহধারী সত্তার বৈশিষ্ট। আল্লাহ তায়ালার মত নিরাকার সত্তার জন্য এটা শোভা পায় না।

    কুরআনের কিছু মুতাশাবিহ তথা অস্পষ্ট আয়াত নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করা এসবকে মূল প্রাতিপাদ্য বিষয় বানানো এক শ্রেণীর ফিতনাবাজদের মূল মিশন তা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে- هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ [٣:٧] অর্থঃ তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। (সূরা আলে ইমরান-৭)

    আল্লাহ তাআলা কোথায় আছেন? এটি কুরআনের একটি মুতাশাবিহাত তথা রূপক শব্দের অন্তর্ভূক্ত। তাই আমাদের পূর্ববর্তী মুহাক্কিকগণ এটির ব্যাপারে অতি গবেষণা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন। কিন্তু যাদের মনে কূটিলতা আছে তারা ফিতনা বিস্তারের জন্য এসবকেই প্রচারণার মূল টার্গেট বানিয়ে কাজ করে যায়।

    সেই কূটিল সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত প্রচলিত বিদআতি ফিরক্বা কথিত ওয়াহাবী/আহলে হাদীস। যাদের কাজই হল মুতাশাবিহ এবং মতভেদপূর্ণ বিষয়কে মানুষের সামনে তুলে ধরে ফিতনা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।

    কথিত ওয়াহাবী/আহলে হাদীস সম্প্রদায় প্রচার করে থাকে, আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান নয়। কিছু আয়াতকে মানতে গিয়ে আরো ১০/১২টি আয়াত অস্বিকার করার মত দুঃসাহস আসলে কথিত ওয়াহাবী/আহলে হাদীস নামী ফিতনাবাজ বাতিল ফিরক্বাদেরই মানায়।

    আশ্চর্যের ব্যাপার হল, যে সকল আয়াত দ্বারা তারা আল্লাহকে আরশে সমাসিন দাবি করছে ঐ সকল আয়াতে ব্যবহৃত আরশ শব্দের মূল অর্থটাই জানেনা। তারা মনে করে আরশ কোন একটা জায়গা আর সেই জায়গায় আল্লাহ অবস্থান করছেন। নাউযুবিল্লাহ!

    আরশ যদি কোন জায়গা হয় তবে এসকল প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে যা কারও পক্ষে উত্তর দেয় সম্ভব নয় কেবল অহেতুক কথন ছাড়া। আল্লাহ খালেক্ব বা স্রষ্টা! এছাড়া সকল কিছু মাক্বলুক্ব এমনকি আরশও (আরশ যদি বস্তু হয়)। কাজেই কেউ যদি বলে আল্লাহ আরশে সমাসিন তবে তাকে আমার প্রশ্নঃ ক) আরশ বলতে কি বুঝেন? খ) আরশ সৃষ্টির আগে আল্লাহ কোথায় ছিলেন? গ) আল্লাহ কি কোন জীব বা বস্তু যে তিনি নির্দিষ্ট জায়গায় অবস্থান নিবেন? ঘ) কিয়ামতের সময় সব কিছু যখন ধ্বংস হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলা কোথায় থাকবেন? ঙ) সালাতে সেজদাহ কাকে দেওয়া হয়? চ) সালাত মুমেনের মিরাজ বলার কারণ কি? *আরশ সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হবে।

    অসংখ্য আয়াতে কারীমাকে অস্বিকার করে আল্লাহ তায়ালাকে কেবল আরশে সীমাবদ্ধ করার মত দুঃসাহস ওরা দেখাতে পারলেও আমরা পারি না। আমরা বিশ্বাস করি-আল্লাহ তাআলার কুরসী আসমান জমিন সব কিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে। তিনি স্থান কাল থেকে পবিত্র। আল্লাহর গোটা রাজত্বের সর্বত্র তিনি রয়েছেন।

    মুসলমানদের দাবি অনুযায়ী আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আল্লাহ অনুপস্থিত। নিম্নে কোরানের কতিপয় আয়াত উল্লেখ করা হল যেখানে আল্লাহ নিজে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি সর্বত্র বিরাজমান।

    আল্লাহ এরশাদ করেন, “আর আমি বান্দার গলদেশের শিরার চেয়েও বেশি নিকটবর্তী”। (সূরা কাফ-১৬)

    “আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে”। (সূরা বাকারা-১৮৬)

    “অতঃপর এমন কেন হয়না যে, যখন প্রাণ উষ্ঠাগত হয়। এবং তোমরা তাকিয়ে থাক। এবং তোমাদের চেয়ে আমিই তার বেশি কাছে থাকি। কিন্তু তোমরা দেখতে পাওনা” (সূরা ওয়াকিয়া-৮৩,৮৪,৮৫)

    “পূর্ব এবং পশ্চিম আল্লাহ তায়ালারই। সুতরাং যেদিকেই মুখ ফিরাও, সেদিকেই রয়েছেন আল্লাহ তায়ালা। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সর্বব্যাপী সর্বজ্ঞাত” (সূরা বাকারা-১১৫)

    “তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সাথে আছেন” (সূরা হাদীদ-৪)

    “যখন তিনি তার সাথীকে বললেন-ভয় পেয়োনা, নিশ্চয় আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন” (সূরা হাদীদ-৪০)

    “কখনো তিন জনের মাঝে এমন কোন কথা হয়না যাতে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন, এবং কখনও পাঁচ জনের মধ্যে এমন কোনও গোপন কথা হয় না, যাতে ষষ্ঠজন হিসেবে তিনি উপস্থিত না থাকেন। এমনিভাবে তারা এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, তারা যেখানেই থাকুক, আল্লাহ তাদের সঙ্গে থাকেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে অবহিত করবেন তারা যা কিছু করত। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন” (সূরা মুজাদালা-৭)

    “আল্লাহ তায়ালার কুরসী আসমান জমিন ব্যাপৃত” (সূরা বাকারা-২৫৫)

    “শুনে রাখ, তারা তাদের পালনকর্তার সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে সন্দেহে পতিত রয়েছে। শুনে রাখ, তিনি সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।” (সূরাঃ হা-মীম সেজদাহ-৫৪)

    ‘তোমরা আল্লাহর সম্মুখে দন্ডায়মান হও বিনীতভাবে’ (বাক্বারাহ ২/২৩৮)।

    উপড়ের আয়াতগুলি দ্বারা এ কথা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, আল্লাহ একই সাথে একই সময়ে নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সর্বত্র বিরাজমান।

    বিভিন্ন হাদীসে বর্ণনা পাওয়া যে, শেষ রাতে আল্লাহ তাআলা প্রথম আসমানে এসে বান্দাদেরকে ইবাদত করার জন্য আহবান করে থাকেন, যেন বান্দা ইবাদত করে।

    এখন প্রশ্ন হল, সারা পৃথিবীতে একই সময়ে শেষ রাত হয় না, এক দেশ থেকে আরেক দেশের সময়ের পার্থক্য রয়েছে। এক ঘন্টা থেকে নিয়ে বার তের ঘন্টা এমনকি বিশ বাইশ ঘন্টাও। তাহলে কি আল্লাহ তাআলা বাংলাদেশের আসমানে শেষ রাতে একবার আসেন, তারপর তিন ঘন্টা পর আবার কুয়েতে/সৌদিতে যান, তারপর এভাবে একের পর এক দেশের প্রথম আসমান ঘুরতেই থাকেন? কুরআন ও সহীহ হাদীসের শব্দসহ উক্ত বিষয়ের সমাধান চাই।

    আল্লাহ সম্পর্কে মওলা আলী (আঃ)-এর খুৎবাঃ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই । তিনি এক এবং তাঁর কোন অংশীদার নেই । তিনিই আদি-তাঁর পূর্বে কোন কিছুই নেই ।তিনিই অন্ত-তাঁর কোন পরিসীমা নেই । কল্পনা তাঁর কোন গুনাবলীকে ধারন করতে পারেনা । তাঁর স্বরূপ সম্বন্ধে হৃদয়ের কোন বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না । কোন বিশ্লেষণ ও বিভাজন তাঁর প্রতি প্রযোজ্য হতে পারে না । চোখ ও হৃদয় তাঁকে উপলব্দি করতে পারে না । তাঁর গুনরাজী কোন বর্ণনাকারী বর্ণনা করে শেষ করতে পারে না । তাঁর নেয়ামতসমূহ গণনাকারীরা গুনে শেষ করতে পারে না ।প্রচেষ্টাকারীগণ তাঁর নেয়ামতের হক আদায় করতে পারে না । আমাদের সমুদয় প্রচেষ্টা জ্ঞান দ্বারা তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় এবং আমাদের সমগ্র বোধশক্তি দ্বারা তাঁর মাহাত্ন্য অনুভব করা সম্ভব নয় । তাঁর সিফাত বর্ণনার কোন পরিসীমা নির্ধারিত নেই এবং সেজন্য কোন লেখা বা বক্তব্য,কোন সময় বা স্তিতিকাল নির্দিষ্ট করা হয় নি ।তিনি নিজ কুদরতে সৃষ্টিকে অস্তিত্বশীল করেছেন, আপন করুনায় বাতাসকে প্রবাহিত করেছেন এবং শিলাময় পাহাড় দ্বারা কম্পমান পৃথিবীকে সুদৃঢ় করছেন ।” (সূত্রঃ নাহাজ আল বালাঘা)

    আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ বিষয়ে হাদিসে যে বর্ণনা পাওয়া যায় তা নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

    *ইহুদীদের কিছু আলেম আবু বকরের নিকট এসেছিল এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল : আমরা তৌরাতে পড়েছি যে নবীর উত্তরসূরী হবে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী ব্যক্তি, যদি তুমি এ উম্মতের নবীর উত্তরসূরী হয়ে থাক, তবে আমাদেরকে বল যে, আল্লাহ্ কি আকাশে আছেন, না ভূপৃষ্ঠে?

    আবু বকর জবাব দিলেন : তিনি আকাশে আরশের উপর অধিষ্ঠিত আছেন।

    তারা বলল : তাহলে ভূপৃষ্ঠে তিনি নেই। সুতরাং জানা গেল যে, তিনি কোথাও আছেন আবার কোথাও বা নেই।

    আবু বকর বললেন : এটা কাফেরদের কথা। দূর হও, নতুবা তোমাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিব।

    তারা ইসলামকে উপহাস করতে করতে ফিরে যাচ্ছিল। হযরত আলী ইবনে আবি তালিব (আ.) তাদের একজনকে ডেকে বললেন : আমি জানি, তোমরা কী জিজ্ঞাসা করেছ এবং কী জবাব পেয়েছ; তবে জেনে রাখ যে ইসলাম বলে : মহান আল্লাহ্ স্বয়ং স্থানের অস্তিত্ব দানকারী, সুতরাং তিনি কোন স্থানে সীমাবদ্ধ নন এবং কোন স্থান তাঁকে ধারণ করতে অক্ষম; কোন প্রকার সংলগ্ন ও স্পর্শ ব্যতীতই তিনি সর্বত্র বিরাজমান এবং তাঁর জ্ঞান সবকিছুকেই পরিবেষ্টন করে আছে…।

    ইহুদী পণ্ডিতগণ ইসলামে বিশ্বাস স্থাপন করলেন এবং বললেন : ‘আপনিই নবীর উত্তরাধিকারী হওয়ার যোগ্য, অন্য কেউ নয়। (সূত্রঃ بحرل أنور; আল্লামা মাসলিসি (রঃ)

    আরেকটি হাদিসঃ Ali ibn Ibrahim has narrated from his father from al Hassan ibn Ali from al-Ba’qubi (Dawud ibn Ali al-Hashimi) from some of our people from ‘Abd al-‘Ala’ Mawla Ala Sam from Imam abu ‘Abdallah (a.s.) who has said the following. “A Jew named Sabhut came to the Prophet, (s.a.) and said, “O Messenger of Allah, I have come to ask about your Lord. If you will answer my question it will be fine, otherwise, I will go back.” The Prophet replied, “Ask whatever you like.” He asked, “Where is your Lord?” The Prophet replied, “He is everywhere, but He is not confined in any limited space.” He asked, “How is He?” The Prophet replied, “How can I describe my Lord by means of conditions that are created. Allah cannot be describe by His creation.” (Source-Al Kafi, Hadith-250, Ch. 8)

    Elsewhere,

    Muhammad ibn abu ‘Abdallah has narrated from Muhammad ibn Isma‘il al-Barmaki from Ali ibn ‘Abbass al-Kharazini from al-Hassan ibn Rashid from Ya‘qub ibn Ja‘far al-Ja‘fari, from abu Ibrahim (a.s.) Who has said the following. “A people was mentioned, before the Imam (a.s.), who believed that Allah, the Most Holy, the Most High, comes down to the sky above the earth.” The Imam (a.s.) said, “Allah does not come down and He does not need to come down. His sight for near and far is the same. Near does not become far for Him and far does not become near for Him. He does not become needy for any thing but all things need Him and He is generous. There is no Lord except Him. He is Most Majestic and All-wise. The statement that says Allah, the Most Holy, the Most High, comes down to the sky over the earth can only come from those who consider Him to decrease or increase (in size). Besides, all moving objects need something to move it or move because of it. Whoever thinks of Allah as such has caused his own destruction. Be very careful about the attributes of Allah to have a belief about them that would limit Him through increase or reduction, moving or being moved, removal or His coming down, standing up or sitting down. Allah, the Most Holy, the Most High, is far from being described by those who would like to describe Him or being characterized by those who do so or pictured in imagination. Have trust in Allah, the Most Majestic, the Most Merciful Who sees you when you get up and when you change positions during prostration.” (Source-Al-Kafi Hadith-325, Ch. 19)

    More info,

    Ali ibn Muhammad has narrated from Sahl ibn Ziyad from Muhammad ibn ‘Isa who has said the following. “I wrote to Imam abu al-Hassan, Ali ibn Muhammad (a.s.) to clarify a question. May Allah take my soul in your service, O my master, it is narrated to us that Allah is in one place and not in another place on ‘Arsh, (the Throne) resting. He comes down to the sky above the earth every night during the last half of the night. It is narrated that He comes down at the ninth evening of the month of Dhul Hajj and then He returns back to His place. Certain individuals among your friends have said that if He would be found in certain places and not in other places the air must have come in contact with Him and would l surround Him because air is a thin form of body that surrounds everything proportionate to its size. How then the air would surround Allah, the Most Holy and the Most High, According to this assumption? The Imam replied in writing, “He has the knowledge of this. He is the best One in having the true measurements of all things. You must, However, note that His being in the sky over the earth is just as He on the Throne. All things to Him are the same in the matters of His knowledge and power, domination and control.” (Source-Al-Kafi, H 328, Ch. 19)

    More,

    About the words of Allah “There is not a single place wherein any secret counsel can take place between any three people without God being the fourth, . . .” (58:7).

    It is narrated from him (the narrator of the above Haddith) from a group of our people from Ahmad ibn Muhammad ibn Khalid from ya‘qub ibn yazid from ibn abu ‘Umayr from ibn ’Udhaynah from Imam abu ‘Abdallah (a.s.) who has said the following. It is about the words of Allah “There is not a single place wherein any secret counsel can take place between any three people without God being the fourth, nor five people without His being the sixth. . .” (58:7). “He is One, the One only in His Own-self. He is different from His creatures and as such He has said about His Own-Self. He has control over all things through His presence, control and power. Nothing as small as an atom in the heavens or earth is absent from Him, not even things smaller or bigger. It is all through His control and knowledge not by His-self. It is because the places are limited by the four boundaries. If it would be by Hisself it would limit Him.”(Source-Al-Kafi, Hadith-329, Ch. 19)

    সম্মানীত পাঠক, উপরন্ত আলোচনায় কোরান ও পর্যায়ক্রমে হাদিসের বর্ণনামতে আপনারা উপলব্দি করেছেন যে, আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। আল্লাহ নির্দিষ্ট কোন জায়গায় নেই। তিঁনি পরম দয়াময় আল্লাহ সৃষ্টি জগতের প্রত্যেকটি কানায় কানায়।

    এখন দেখার বিষয় হচ্ছে যে সকল আয়াতে বলা হয়েছে যে, আরশে সমাসীন এর সাথে কি ঐ আয়াতগুলি সাংঘর্ষিক হয়ে গেল? না! ১-২ বার নয় বরং যথবার বলা হয়েছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান ঠিক তার কমবেশি আয়াতে বলা হয়েছে আল্লাহ আরশে সমাসীন। তাহলে কি কোরানের বিধান পরষ্পর বিরোধী হয়ে গেল? নিশ্চয়ই না। আমাদের বুঝার ভুল। আরশ মানে কোন জায়গা বস্তু বা জীব নয়। আরশ যদি সৃষ্টিকৃত কোন কিছু হয় তবে এ প্রশ্নের উত্তর আপনাকে দিতেই হবে যে, আরশ সৃষ্টির আগে আল্লাহ কোথায় সমাসীন ছিলেন? আর কথা বাড়াবো না। এবার আরশ নিয়ে আলোচনা করব। আরশ (Throne) বা সিংহাসন একটি প্রতিকি শব্দ। যারা মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে, About the words of Allah The Beneficent God is dominant over the Throne (of the realm) (20:5)

    Ali ibn Muhammad and Muhammad ibn al-Hassan have narrated from Sahl ibn Ziyad from al-Hassan ibn Musa al-Khashshab from a few of his people from Imam abu ‘Abdallah (a.s.) who (the narrator) has said the following. “A person asked the Imam about the words of Allah, “The Beneficent God is dominant over the Throne (of the realm) (20:5)” The Imam said, “Allah established His control over all things. No one thing is closer to Him than any other thing.” (Source-Al-Kafi, Hadith-330, Ch. 19)

    Elsewhere,

    Abu Qurrah then said, “He Himself has said, ‘The angels will be around the heavens and on that day eight of them will carry the Throne of your Lord above all the creatures.’ (69:17) Also He has said, “Those who carry the Throne (al-‘Arsh).”Imam abu al-Hassan (a.s.) then said, “Al-‘Arsh (the Throne) is not Allah. Al-‘Arsh is the name of knowledge and power. In al-‘Arsh there is everything. Besides, He has ascribed carrying to things other than His Own-self. It is ascribed to a creature among His creatures. This is because He has made His creatures to worship Him through carrying His al-‘Arsh (the Throne) and they are the carrier of His knowledge. There is a creature, who speaks of His praise around His al-‘Arsh (the Throne) and act according to His knowledge and the angels write down the deeds of His servants. (Source-Al-Kafi, Hadith-336, Ch. 20)

    আশা করি আরশ সম্পর্কে ভুল ধারণার অবসান হবে। আরশ মানে কোন জায়গা বা বস্তু হলে আর সেখানে আল্লাহ অবস্থান নিচ্ছেন বললে সরাসরি কোন সন্দেহ ছাড়া শিরক বলে পরিগনিত হবে।

    কিছু অপযুক্তির খন্ডনঃ

    প্রশ্নঃ আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান হলে আকাশের দিকে কেন হাত উঠিয়ে দুআ করা হয়?

    উত্তরঃ আদবের জন্য। যদিও আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। কিন্তু আল্লাহ তায়ালার শান হল উঁচু, তাই আদব হিসেবে উপরের দিকে হাত উঠিয়ে দুআ করা হয়।

    প্রশ্নঃ জিবরাঈল উপর থেকে নিচে নেমে আসেন মানে কি?

    উত্তরঃ এর মানে হল-যেমন পুলিশ এসে কোন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কারণ বলে যে, উপরের নির্দেশ। এর মানে কি পুলিশ অফিসার উপরে থাকে? না সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে যিনি উপরে তার নির্দেশ তাই বলা হয় উপরের নির্দেশ? তেমনি আল্লাহ তায়ালা ফরমান নিয়ে যখন জিবরাঈল আসেন একে যদি বলা হয় উপর থেকে এসেছেন, এর মানেও সম্মানসূচক ও পরাক্রমশালীর কাছ থেকে এসেছেন। তাই বলা হয় উপর থেকে এসেছেন। এই জন্য নয় যে, আল্লাহ তায়ালা কেবল উপরেই থাকেন।

    প্রশ্নঃ আল্লাহ তায়ালা কি সকল নোংরা স্থানেও আছেন? নাউজুবিল্লাহ!

    উত্তরঃ এই উদ্ভট যুক্তি যারা দেয় সেই আহমকদের জিজ্ঞেস করুন। তার কলবে কি দু’একটি কুরাআনের আয়াত কি সংরক্ষিত আছে? যদি বলে আছে। তাহলে বলুন তার মানে সীনায় কুরআনে কারীম বিদ্যমান আছে। কারণ সংরক্ষিত সেই বস্তুই থাকে, যেটা বিদ্যমান থাকে, অবিদ্যমান বস্তু সংরক্ষণ সম্ভব নয়। তো সীনায় যদি কুরআন বিদ্যমান থাকে, সেটা নিয়ে টয়লেটে যাওয়া কিভাবে জায়েজ? কুরআন নিয়েতো টয়লেটে যাওয়া জায়েজ নয়। তখন ওদের আকল থাকলে বলবে-কুরআন বিদ্যমান, কিন্তু দেহ থেকে পবিত্র কুরআন। তেমনি আমরা বলি আল্লাহ তায়ালা সর্বত্র বিরাজমান। কিন্তু তিনি দেহ থেকে পবিত্র। সেই হিসেবে সর্বত্র বিরাজমান। সুতরাং কুরআন যেমন সীনায় থাকায় সত্বেও টয়লেটে যেতে কোন সমস্যা নেই। কুরআনে কারীমের বেইজ্জতী হয়না, সীনায় সংরক্ষিত কুরআনের দেহ না থাকার কারণে, তেমনি আল্লাহ তায়ালার দেহ না থাকার কারণে অপবিত্র স্থানে বিদ্যমান থাকাটাও কোন বেইজ্জতীর বিষয় নয়।

    >>আল্লাহ তাআলা শুধুই আসমানে আছেন বলাটা আল্লাহ তাআলার বড়ত্বকে খাট করা!

    আমরা জানি, কোন বস্তু যখন অন্য বস্তুর উপর থাকে, তখন যে বস্তুর উপর বস্তুটি রাখা হয়, তা বড় থাকে, আর যা রাখা হয় তা হয় ছোট। যেমন-যদি বলা হয় যে, কলমটি টেবিলের উপর আছে, তখন বুঝতে হবে যে, টেবিলটি বড় আল কলমটি ছোট, কারণ, কলম বড় হলে কলমটি টেবিলের উপর থাকতে পারে না।

    এটাই মুহিত ও মুহাতের পার্থক্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুহীত তথা সর্ব কিছুকে পরিবেষ্টনকারী। তাকে পরিবেষ্টনকারী কিছু নেই। যদি বলা হয় যে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন কিছুর উপর আছেন, তাহলে ঐ বস্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে মুহীত করে ফেলছে, তথা পরিবেষ্টন করে ফেলছে, তথা ঐ বস্তু হয়ে যাচ্ছে বড়, আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হয়ে যাচ্ছেন ছোট নাউজুবিল্লাহ। যা কেবল নাস্তিকরাই বলতে পারে, কোন মুমিন মুসলমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে এভাবে খাট করতে পারে না।

    প্রশ্নঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যদি আকেশের উপড়েই থাকেন তবে রাসূল (সঃ) এর মেরাজকে কি দৃষ্টি দেখবেন?

    উত্তরঃ যেহেতু আল্লাহ সৃষ্টি জগতের সব জায়গায় আছেন সেহেতু তিনি যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে যাবেন।

    তারপরেও যদি প্রশ্ন করেন তবে আমার প্রশ্নের উত্তর দিনঃ আল্লাহ তাআলা আরশেই অবস্থান করলে মুসা আঃ কে দেখা দেয়ার জন্য তূর পাহাড়ে কেন ডেকে নিলেন?

    পরিশেষে বলা যায় মুমেন মুসলমানদের সহিহ্ আকিদা হচ্ছে আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান। যে কেউ আল্লাহকে নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ করল মানে শিরক করল। আল্লাহকে পরিবেষ্টন করার সামর্থ সৃষ্টি জগতে কিছুই নেই যেহেতু তিনিই সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা।

    আজকের এই নোট তাদের জন্যই যারা বহু ডিগ্রী বা টাইটেল তাদের গলায় জুলিয়ে বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে আটলান্টিক মহা সাগরের গভীরতা নির্ণয় করতেছেন। যারা তিমি মাছ ড্রামের মধ্যে চাষ করতে চান। মাটির টিল্লাকে হিমালয় মনে করেন এবং বাজারে বাজারে জান্নাতের টিকেট বিক্রি করে। কথায় কথায় অমুসলিম কাফের ফতোয়া দেয়। নিজেদের মূর্খতাকে উচ্ছ আওয়াজে জাহির করে।

    আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদিঁও ওয়া আলে মুহাম্মঁদ। সালামুন আলাইকুম।

    • ভাই! আপনার উল্লেখিত পোস্টটি আশআরী মতবাদের সমর্থক। দলীল-প্রমাণগুলির এত বেশী অপব্যাখা করা হয়েছে যে, কোন টি ছাড়ি আর কোন্ টি বলি। তবুও দুএকটির উল্লেখ করছি।
      ১- আপনি প্রথমে বলেছেন [এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে পূর্ববর্তী মনীষীগণ নিষেধ করেছেন। বলা যায় এটি একটি বিদআতি আলোচনা] অতঃপর ইমাম মালেক (রহ) এর উক্তি তুলে ধরেছেন। [“আল্লাহ তাআলার আরশে ইস্তিওয়া এর বিষয়টি জানা যায়, কিন্তু অবস্থা অজানা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত। আর এ বিষয়ে ঈমান রাখা ওয়াজিব”।]
      এখানে [ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত] বলতে আসল বিষয় আল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত, না আল্লাহর আরসে সমুন্নত হওয়ার ধরণ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদআত? আপনি পুরো বিষয়টির সম্পর্কে প্রশ্ন করা বিদআত বলেছেন, যা ইমাম মালিকের উক্তির অপব্যাখ্যা।
      ২- যদি বিদআতই হয়, তাহলে সহীহ মুসলিমে মুআবিয়া বিন হাকাম (রাযিৎ) এর হাদীস নবী (সাঃ) এক দাসীকে বলেনঃ আল্লাহ কোথায় আছেন? সে উত্তরে বললঃ আকাশে। তাহলে নবী (সাঃ) এর এই প্রশ্ন আপনার নজরে কি বিদআত, না এমন প্রশ্ন করা সুন্নাত?
      ৩- আপনি কিছু প্রশ্ন করেন যেমন [প্রশ্নঃ জিবরাঈল উপর থেকে নিচে নেমে আসেন মানে কি?]
      উত্তরঃ এর মানে হল-যেমন পুলিশ এসে কোন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে কারণ বলে যে, উপরের নির্দেশ। এর মানে কি পুলিশ অফিসার উপরে থাকে? না সম্মান ও ক্ষমতার দিক থেকে যিনি উপরে তার নির্দেশ তাই বলা হয় উপরের নির্দেশ? তেমনি আল্লাহ তায়ালা ফরমান নিয়ে যখন জিবরাঈল আসেন একে যদি বলা হয় উপর থেকে এসেছেন, এর মানেও সম্মানসূচক ও পরাক্রমশালীর কাছ থেকে এসেছেন। তাই বলা হয় উপর থেকে এসেছেন। এই জন্য নয় যে, আল্লাহ তায়ালা কেবল উপরেই থাকেন।
      কত হাস্যকর আপনার উপস্থাপন। ধরেই নিলাম কিন্তু যখন জিবরীল (আঃ) নিচ থেকে উপরে যান তখন কি ব্যাখ্যা দিবেন? আল্লাহর গুণে মানুষের সাথে উপমা দিতে আপনারা পারেন কিন্তু সরাসরি তা মানতে পারেন না। আল্লাহ বলেনঃ (তাঁর মত কোনো কিছু নেই তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা)।
      এই রকম পুরো বিষয়টির প্রমাণ ও যুক্তিগুলো আপত্তিকর……আল্লাহ যেন বুঝার তাওফীক দেন।

আপনার মতামত বা প্রশ্ন লিখুন।

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s